আবদুর রহীম ইবনুল হুসাইন আল-ইরাকী
পেইজ পরিচিতি
শিরোনাম: আবদুর রহীম ইবনুল হুসাইন আল-ইরাকী
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: তিনি আবদুর রহীম ইবনুল হুসাইন ইবন আবদুর রহমান, যিনি হাফেয আল-ইরাকী নামে খ্যাত। ৭২৫ হি.তে জন্ম নেন। তিন বছর বয়সে তার পিতার মৃত্যু হয়। তবে আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি দ্বীনী জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হন। তিনি তার পিতার উস্তাদ শাইখ তাকীউদ্দীনের কাছে যেতেন এবং তার কাছ থেকে জ্ঞান আহরন করতেন। তিনি আট বছর বয়সেই কুরআন হেফয করেন। তারপর বিভিন্ন জ্ঞান জগতে পরিব্রজন করেন। প্রথমেই কিরাআত ও আরবী ভাষার উপর পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। কখনও কখনও তিনি একদিনে চারশত লাইনও মুখস্ত করতেন, আর এতেই নিমগ্ন থাকতেন। তখন তাকে প্রধান বিচারপতি ইযযুদ দ্বীন ইবন জামা‘আহ বলেন, এ বিদ্যায় কষ্ট বেশী তবে উপকারিতা কম। তোমার রয়েছে প্রচণ্ড মেধা, তুমি এটাকে অন্য দিকে প্রবাহিত কর। তিনি তাকে ইলমে হাদীসের প্রতি ইঙ্গিত করলেন; ফলে তিনি হাদীসের প্রতি মনোযোগী হলেন, এবং তৎকালীন অনেক মুহাদ্দিসের কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করেন।
তিনি ইলমুল হাদীসকে খুব ভালোবেসেছিলেন, এতেই তার অধিকাংশ সময় ব্যক্ত করতেন, শেষপর্যন্ত এ বিষয়েই তিনি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। তার যুগে সবাই তার স্বীকৃতি দিত, যেমন সুবুকী, আলা‘য়ী, ইযযুদ্দীন ইবন জামা‘আহ, ইবন কাসীর, ইসনাওয়ী, তারা সবাই তার প্রশংসা করতেন।
তিনি বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী ছিলেন, কিরাআত, ফিকহ ও উসুল, নাহূ, ভাষা, ইত্যাদি। তার সম্পর্কে কাযী ইবন জামা‘আহ বলেন, তিনি ব্যতীত মিসরে যারাই মুহাদ্দিস হবার দাবী করবে, তার সে কথা দাবীই সার। ইবন জামা‘আহ নিজেও তার কাছ থেকে বুঝে নিতেন। তার লেখা গ্রন্থের মধ্যে বিখ্যাত হচ্ছে, ইখবারুল আহইয়াহ বি আখবারিল এহইয়াহ, চার খন্ডে। (আবু হামেদ আল-গাযালীর এহইয়াউ উলূমিদ্দিন এর হাদীসসমূহের তাখরীজ)। আল-কাসফুল মুবীন আন তাখরীজে এহইয়াউ উলূমিদ্দিন। তাকরীবুল আসানীদ ফী তারতীবিল মাসানীদ। এটি আহকামের হাদীস সম্বলিত। তাছাড়া তিনি হাদীসের জ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ ‘আত-তাবসেরাহ ওয়াত তাযকেরাহ’ও রচনা করেন। যাকে আলফিয়াহও বলা হয়। আত-তাকয়ীদ ওয়াল ঈদ্বাহ, যা ইবনুস সালাহের লেখা ইলমে হাদীসের গ্রন্থের ব্যাখ্যা। তাছাড়া আরও নাসিরুদ্দীন আল-বায়দ্বাভীর উসুলী গ্রন্থ আল-মিনহাজ এর ব্যাখ্যা গ্রন্থ আন-নুজুমুল ওয়াহহাজ ও লিখেন। তাছাড়া মুরসাল হাদীসের উপর একহাজার কবিতার একটি গ্রন্থ লিখেন, যার নাম আদ-দুরারুস সানিয়্যাহ। তিনি ৮০৬ হি. সনে ৮১ বছর বয়সে মারা যান। তার জানাযা ছিল বিখ্যাত জানাযা।
তিনি ইলমুল হাদীসকে খুব ভালোবেসেছিলেন, এতেই তার অধিকাংশ সময় ব্যক্ত করতেন, শেষপর্যন্ত এ বিষয়েই তিনি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। তার যুগে সবাই তার স্বীকৃতি দিত, যেমন সুবুকী, আলা‘য়ী, ইযযুদ্দীন ইবন জামা‘আহ, ইবন কাসীর, ইসনাওয়ী, তারা সবাই তার প্রশংসা করতেন।
তিনি বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী ছিলেন, কিরাআত, ফিকহ ও উসুল, নাহূ, ভাষা, ইত্যাদি। তার সম্পর্কে কাযী ইবন জামা‘আহ বলেন, তিনি ব্যতীত মিসরে যারাই মুহাদ্দিস হবার দাবী করবে, তার সে কথা দাবীই সার। ইবন জামা‘আহ নিজেও তার কাছ থেকে বুঝে নিতেন। তার লেখা গ্রন্থের মধ্যে বিখ্যাত হচ্ছে, ইখবারুল আহইয়াহ বি আখবারিল এহইয়াহ, চার খন্ডে। (আবু হামেদ আল-গাযালীর এহইয়াউ উলূমিদ্দিন এর হাদীসসমূহের তাখরীজ)। আল-কাসফুল মুবীন আন তাখরীজে এহইয়াউ উলূমিদ্দিন। তাকরীবুল আসানীদ ফী তারতীবিল মাসানীদ। এটি আহকামের হাদীস সম্বলিত। তাছাড়া তিনি হাদীসের জ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ ‘আত-তাবসেরাহ ওয়াত তাযকেরাহ’ও রচনা করেন। যাকে আলফিয়াহও বলা হয়। আত-তাকয়ীদ ওয়াল ঈদ্বাহ, যা ইবনুস সালাহের লেখা ইলমে হাদীসের গ্রন্থের ব্যাখ্যা। তাছাড়া আরও নাসিরুদ্দীন আল-বায়দ্বাভীর উসুলী গ্রন্থ আল-মিনহাজ এর ব্যাখ্যা গ্রন্থ আন-নুজুমুল ওয়াহহাজ ও লিখেন। তাছাড়া মুরসাল হাদীসের উপর একহাজার কবিতার একটি গ্রন্থ লিখেন, যার নাম আদ-দুরারুস সানিয়্যাহ। তিনি ৮০৬ হি. সনে ৮১ বছর বয়সে মারা যান। তার জানাযা ছিল বিখ্যাত জানাযা।
সংযোজন তারিখ: 2012-10-06
শর্ট লিংক: http://IslamHouse.com/403343
সম্পৃক্ত বিষয়গুলো ( 0 )