জীবনকে গালি দেয়ার হুকুম

ফতোয়া পেইজ পরিচিতি
শিরোনাম: জীবনকে গালি দেয়ার হুকুম
ভাষা: বাংলা
মুফতী: মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন
অনুবাদক: সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: একটি প্রশ্নের উত্তরে শায়খ মুহাম্মাদ সালেহ আল-উসাইমীন ফতোয়াটি প্রদান করেন। প্রশ্নটি হল: সংকীর্ণতার কারণে অথবা রাগ করে জীবনকে গালি দেয়ার বিধান কি ? এ ব্যাপারে আপনাদের দিকনির্দেশনা কামনা করছি।

সংযোজন তারিখ: 2010-03-04
শর্ট লিংক: http://IslamHouse.com/279811
:: এই শিরোনামটি বিষয় অনুসারে নিম্নের ক্যাটাগরিগুলোতে বিন্যস্ত ::
এই ‘বিষয় পরিচিতি’টি নিম্নোক্ত ভাষায় অনূদিত:: আরবী
বিস্তারিত বিবরণ

প্রশ্ন :

সংকীর্ণতার কারণে অথবা রাগ করে জীবনকে গালি দেয়ার বিধান কি ? ব্যাপারে আপনাদের দিকনির্দেশনা কামনা করছি

 

উত্তর :

আল-হামদুলিল্লাহ

সংকীর্ণতার কারণে অথবা রাগ করে জীবনকে গালি দেয়া বৈধ নয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে খুদিতে বলেছেন

বনী আদম আমাকে কষ্ট দেয় সে যুগকে গালি দেয়, অথচ আমিই যুগ আমার হাতে আমিই রাত-দিন পরিবর্তন করি

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত, তিনি বলেন :

( لا تسبوا الدهر فإن الله هو الدهر )

তোমরা জামানা গালি দিয়ো না, কারণ, আল্লাহ তাআলাই জামানা

অর্থাৎ তিনিই জামানা পরিবর্তনকারী মানুষ কোন মসিবতের সম্মুখীন হলে করণীয় হচ্ছে ধৈর্য ধারণ করা ছাওয়াবের  আশা রাখা কারণ আল্লাহ তাআলা ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন

আল্লাহ তাআলা তার নবীকে লক্ষ্য করে বলেন,

{এগুলো গায়েবের সংবাদ, আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে তা জানাচ্ছি ইতঃপূর্বে তা না তুমি জানতে এবং না তোমার কওম সুতরাং তুমি সবর কর নিশ্চয় শুভ পরিণাম কেবল মুত্তাকিদের জন্য} সূরা হুদ : ৪৯

মানুষের স্মরণ রাখা উচিত যে, দুনিয়ার কোন মুসীবত এমন নয়, যার তুলনায় বড় মুসীবত আর নেই অর্থাৎ মুসীবতের  উপর মুসীবত রয়েছে আর যখন সে এটা মনে রাখবে, তখন তার উপর বিদ্যমান মুসীবত বিপদ হালকা হয়ে যাবে

(শায়েখ সালেহ আল-উসাইমীন রহ. এর ফতোয়া থেকে সংগৃহীত)

 

Go to the Top