يعمل في مخزن وقد يطلب منه نقل لحم الخنزير إلى الشاحنات

سؤالي: ما رأي الشرع في عملي هذا؟ مع العلم أن فرص العمل المتوفرة في المطاعم والمقاهي بدورها تقدم أطباقًا تحتوي علي لحم خنزير».
প্রশ্নআমি একজন মুসলিম যুবক। আমি পাশ্চাত্যের একটি দেশে খাদ্যের গোডাউনে কাজ করি। আমি খাদ্যদ্রব্য বাজারে সাপ্লাই করি, দোকানে দোকানে দিয়ে আসি। আমি এসব খাদ্য একত্রিত করি ও ট্রাকে উঠাই। এতে যেমন থাকে বিভিন্ন ফলমূল, শাক-সবজি তেমনি থাকে মাংস, দুধ। অনেক সময় এমন সম এমন গ্রাহকের সাক্ষাৎ পাই যে শূকর অথবা শকরজাত কোনো দ্রব্য চেয়ে বসে, তখন আমরা এগুরো একটিত করতে ও ট্রাকে উঠাতে বাধ্য হই
আমার প্রশ্ন হল: শরীয়তের দৃষ্টিতে এ কাজটি করার বিধান কি? উল্লেখ্য যে, যেসব খাবারের দোকান ও ক্যাফেতে কাজের সুযোগ রয়েছে সবগুলোতেই শুকরের গোশ্ত পরিবেশন করা হয়।
উত্তর
আলহামদুলিল্লাহ।
শুকরের গোশত বিক্রি করা, বহন করা, তাতে কোন প্রকার অংশ গ্রহণ করা জায়েয নয়। কারণ:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল মদ, মৃতজন্তু, শুকর ও মূর্তির বিক্রয় হারাম করেছেন। বুখারী, হাদীস নং ২০৮২, মুসলিম হাদীস নং ২৯৬০
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন,
﴿ وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ ﴾ المائدة/2
'তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ায় একে অপরকে সহযোগিতা কর। পাপাচার ও সীমালংঘনে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না।' [সূরা আল মায়েদা, আয়াত:২]
অতএব যা কিছু হারাম, তার সকল ক্ষেত্রেই এ নির্দেশ প্রযোজ্য। এ সকল বস্তু যেমন খাওয়া যায় না, বিক্রি করা যায় না তেমনি বহন করা, পরিবেশন করা, সংরক্ষণ করা যাবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
: ﴿ حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالدَّمُ وَلَحْمُ الْخِنْزِيرِ وَمَا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ وَالْمُنْخَنِقَةُ وَالْمَوْقُوذَةُ وَالْمُتَرَدِّيَةُ وَالنَّطِيحَةُ وَمَا أَكَلَ السَّبُعُ إِلَّا مَا ذَكَّيْتُمْ ﴾ المائدة/3.
'তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত প্রাণী, রক্ত ও শূকরের গোশত এবং যা আল্লাহ ভিন্ন কারো নামে যবেহ করা হয়েছে; গলা চিপে মারা জন্তু, প্রহারে মরা জন্তু, উঁচু থেকে পড়ে মরা জন্তু অন্য প্রাণীর শিঙের আঘাতে মরা জন্তু এবং যে জন্তু, হিংস্র প্রাণী খেয়েছে- তবে যা তোমরা যবেহ করে নিয়েছ তা ছাড়া।' সূরা আল মায়েদা, আয়াত: ৩
প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য হল সর্বদা আল্লাহকে ভয় করা। তাকওয়া অবলম্বন করা। হালাল উপার্জনের মাধ্যম অন্বেষন করা। উপার্জনের হারাম মাধ্যম বর্জন করা। কারণ হারাম মাধ্যমে যা উপার্জন করা হয় তা জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'যে সকল শরীর অবৈধ উপার্জনে গঠিত, তা জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হওয়ার ব্যাপারে অগ্রগণ্য।'
সহীহ সনদে তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। সহীহ আল জামে, হাদীস নং ৪৫১৯
সৌদী আরবের সবের্াচ্চ ফতোয়া বিভাগের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যে সকল হোটেলে শুকরের গোশত, মদ পরিবেশন করা হয় সেখানে চাকুরী করা জায়েয কি না?
তারা উত্তরে বলেছেন, এ সকল হোটেলে কাজ করা হারাম। সেখানে কাজ করে যা উপার্জন করা হবে, তাও হারাম হবে। কেননা এটা অবৈধ বা হারাম কাজে সহযোগিতা করা। যা আল্লাহ নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন,
' মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা করো না।' [সূরা আল মায়েদা, আয়াত: ২]
তাই আমরা আপনাকে উপদেশ দিচ্ছি যে, আপনি এ সকল হোটেলে কাজ করা পরিহার করুন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যা হারাম ও অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন তা করতে কাউকে সাহায্য সহযোগিতা করবেন না।
(সর্বোচ্চ ফতোয়া বিভাগের ফতোয়া নং ১৩/৪৯)
মোট কথা হল, আনি এই গোডানে কাজ কতে পারেন তবে সেখানে হারাম বস্তুসামগ্রী বহন, সংরক্ষণ, পরিবেশনের কাজ করা জায়েয হবে না।
