حكم العمل في تصنيع طعام الحيوانات المشتمل على لحم الخنزير

فتاوى البطاقة التعريفية
العنوان: حكم العمل في تصنيع طعام الحيوانات المشتمل على لحم الخنزير
اللغة: بنغالي
نبذة مختصرة: سؤال أجاب عنه فضيلة الشيخ محمد صالح المنجد - حفظه الله -، ونصه: «هل يجوز العمل بمصنع يعد طعامًا للحيوانات وهذا الطعام يحتوي على الخنزير؟».
تأريخ الإضافة: 2009-05-05
الرابط المختصر: http://IslamHouse.com/206639
- هذه البطاقة مترجمة باللغات التالية: بنغالي
نبذة موسعة

প্রশ্ন

জীবজন্তুর জন্য এমন খাবার তৈরি করার কাজ করা কি বৈধ যে খাবারে শূকরের গোশত রয়েছে?
উত্তর আলহামদু লিল্লাহ
প্রথমত: যেসব জীবজন্তু খাওয়া হয় না, যেমন কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি কে মৃত খেতে দেওয়া বৈধ, যার মধ্যে শূকরের গোশতও শামিল। কেননা শূকর সর্বাবস্থায় মৃত। চাই তা যবেহ করা হোক অথবা যবেহ ব্যতীতই মারা যাক। ইমাম নববী ‘মাজমু’গ্রন্থে ( ৪/৩৩৬) বলেন, কুকুর ও পাখিকে মৃত খাওয়ানো বৈধ। আর চতুষ্পদ জন্তুকে অপবিত্র খাবার খাওয়ানো বৈধ।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া - রাহিমাহুল্লাহ- বলেন, ‘মদ দিয়ে আগুন নেভানো বৈধ, বাজ এবং ঈগল পাখিকে মৃত খাওয়ানো বৈধ এবং চতুষ্পদ জন্তুকে নাপাক পোশাক পরিধান করানো বৈধ। তদ্রূপভাবে, উলামাদের প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী, নাপাক তেল দিয়ে বাতি জ্বালানো বৈধ। এটা ইমাম আহমদ র. থেকে বর্ণিত দুই রেওয়ায়েতের মধ্যে প্রসিদ্ধতম। আর এটা এ কারণে যে, উল্লিখিত ক্ষেত্রে নাপাক জিনিস ব্যবহার করার অর্থ তা সমূলে ধ্বংস করা। (সূত্র: আল ফাতাওয়াল কুবরা:১/৪৩৩)

দ্বিতীয়ত: শূকরের গোশত বিক্রি করা অবৈধ। হোক তা ভিন্নভাবে অথবা অন্য কিছুর সাথে মিশ্রিত করে। বুখারী ( ২২৩৬) ও মুসলিম (১৫৮১)-এ জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ -রাদিআল্লাহু আনহুমা- থেকে বর্ণিত হয়েছে, যে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, আর তখন তিনি মক্কায় ছিলেন, (যে, নিশ্চয় আল্লাহ ও তাঁর রাসূল; মদ ,মৃত, শূকর ও মূর্তি বিক্রয় হারাম করে দিয়েছেন।)

ইমাম নববী র. বলেন যে, শিকারি-জন্তুকে মৃত খাওয়ানো বৈধ তবে তা বিক্রি করা বৈধ নয়। ( আল মাজমু-৯/২৮৫)

শায়খ ইবনে উছাইমীন র. কে বিড়ালের জন্য তৈরি কৌটাজাত খাদ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে খাদ্যে শূকরের গোশত রয়েছে। প্রশ্ন ছিল যে, এজাতীয় খাদ্য কি ক্রয় করা ও বিড়ালকে খাওয়ানো বৈধ হবে?

তিনি উত্তরে বলেছিলেন, যদি এজাতীয় কৌটাজাত খাদ্য ক্রয়ের ব্যাপার হয় তবে তা বৈধ হবে না। কেননা টাকার বিনিময়ে শূকরের গোশত ক্রয় বৈধ নয়, হ্যাঁ যদি তা এমনিতেই পড়ে থাকে এবং তা বিড়ালকে খাইতে দেয়, তবে কোনো সমস্যা নেই।

অতএব বলব যে, এমন খাবার তৈরির কাজ করা বৈধ হবে না যে খাবারে শূকর অথবা মৃতের গোশত রয়েছে; কেননা এতে হারাম ও গোনাহের কাজে সহায়তা করা হয়, কেননা তা বিক্রির উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়। আর তা হারাম হওয়ার ব্যাপারে উপরে আলোচনা এসেছে। এ মর্মে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন। ( সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরে সহযোগিতা কর, অসৎকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা করো না, আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয় আল্লাহ আযাব দানে কঠোর।) [সূরা আল মায়েদা:২]

Go to the Top