كيفية التطهر من نجاسة الخنزير
بعد عدة سنوات كنت خارج بلدي وأكلت الخنزير بالخطأ ولم أغسل فمي بالماء والتراب.
وقعت هاتين الحالتين قبل عدة سنوات ولم يبق أثر للخنزير على فمي أو يدي ولا طعم ولا رائحة ولا لون؛ فهل يجب أن نغسلهم الآن؟ أخشى أن لا يقبل الله صلاتنا بسبب هاتين الحالتين. أرجو التوضيح».
প্রশ্ন
ছোটকালে আমি আমার পরিবারের সাথে বাইরে সফর করি। সফরকালে একসময় আমাদের বিসু্কট দেয়া হল। মা যখন এ ব্যাপারে জানলেন তিনি আমাকে নিষেধ করলেন। যতটুকু মনে পড়ে, আমরা আমাদের হাত ও মুখ পানি ও মাটি দিয়ে ( ৭ বার যার একবার হবে মাটি দিয়ে) শূকর স্পর্শকারী অথবা শূকরের কোনো কিছু স্পর্শকারীর ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের যেরূপ নির্দেশ কবেছেন, সেভাবে ধৌত করি নি, । এর কয়েক বছর পর আমি আবারও বাইরে যাই, এবং ভুলক্রমে শূকরের গোশত খেয়ে ফেলি তবে আমার হাতে, মুখে, শূকরের কোনো চিহ্নই অবশিষ্ট থাকে নি। তার গন্ধ, স্বাদ বা রঙ কোনোটিই অবস্থিত থাকে নি। প্রশ্ন হল, এখন কি আমার হাত-মুখ কি এখন ধৌত জরুরি? আমার তো ভয় হচ্ছে যে উলি্লখিত দুই ঘটনার কারণে আল্লাহ আমাদের সালাত কবুল করবেন না। আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার করে বললেন
উত্তর
আলহামদু লিল্লাহ
যেহেতু অনিচ্ছাকৃতভাবে শূকরের গোশত খেয়েছেন, তাই আপনাদের কোনো গোনাহ হবে না। ইরশাদ হয়েছে :
﴿ وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُوراً رَحِيماً ﴾ الأحزاب / 5.
(আর তোমরা ভুলবশত যা করেছ তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না, তবে তোমাদের অন্তরে সংকল্প থাকলে (অপরাধ হবে), আর আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। ) [সূরা আল আহযাব:৫]
হাদীসে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ' আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের ভুল, বিস্মৃতি ও যা বাধ্য-হয়ে করেছে এমন বিষয় ক্ষমা করে দিয়েছেন।' [ ইবনে মাজাহ (২০৪৩) আলবানী এ হাসীসটি বিশুদ্ধ বলেছেন।
তবে কথা হল, মুসলমানের উচিত খাবার গ্রহণের পূর্বে সর্তকতা ও খোঁজ খবর নেয়া। বিশেষ করে সে যদি অমুসলিম দেশে থাকে যেখানে অপবিত্র বস্তু খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আর, শূকরের নাপাকি থেকে পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি বিষয়ে বলব যে উলামাদের কেউ কেউ কুকুরের নাপাকির সাথে এর তুলনা করে সাতবার ধৌত করার কথা বলেছেন যার মধ্যে একবার হবে মাটি ব্যবহার করে।
তবে বিশুদ্ধ মত হল, শূকরের নাপাকির ক্ষেত্রে একবার ধৌত করলেই চলবে। ইমাম নববী র. মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যায় বলেছেন, ' অধিকাংশ উলামাদের মতানুযায়ী শূকরের নাপাকি সাতবার ধৌত করতে হয় না। এটা শাফী র. এর অভিমত, আর দলিলের ক্ষেত্রে এ অভিমতটি শক্তিশালী।'
শায়খ ইবনে উসাইমীন র.ও এই অভিমতকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি আশশারহুল মুমতে' গ্রন্থে বলেছেন (১/৪৯৫) ' ফেকাহবিদগণ শূকরের নাপাকিকে কুকুরের নাপাকির সাথে যুক্ত করেছেন; কেননা তা কুকুর থেকে অধিক অপিত্র। অতঃপর কুকুরের নাপাকি থেকে পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি এক্ষেত্রে আরো গুরুত্বসহ বিধিবদ্ধ হবে।
এটা একটা দুর্বল কিয়াস; কেননা শূকরের কথা কুরআন মাজীদে এসেছে এবং শূকর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লমের যুগেও ছিল। তা সত্ত্বেও তিনি শূকরকে কুকুরের সাথে যুক্ত করেন নি। তাই এ ক্ষেত্রে সঠিকতম অভিমত হল, শূকরের নাপাকি অন্যান্য নাপাকির মতোই। অতঃপর তা অন্যান্য নাপাকির মতো ধুয়ে ফেললেই চলবে।
আর অন্যান্য নাপাকি ধৌত করার শুদ্ধ পদ্ধতি হল যে, যা দিয়ে নাপাকি দূর হয়ে যায় তা করলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যার অনুবর্তিতা শর্ত নয়। শূকর স্পর্শজনিত নাপাকি থেকে পবিত্রতার পদ্ধতি যাই হোক না কেন, আপনাদের এখন আর শরীরের কোনো অংশ ধুইতে হবে না। আপনাদের সালাত কবুলের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
(আল্লাহ তাআলাই অধিক জ্ঞানী)