রমজানের কাজা রোজা ও শাওয়ালের ছয় রোজা এক নিয়তে একই সাথে আদায় করা শুদ্ধ নয়

ফতোয়া পেইজ পরিচিতি
শিরোনাম: রমজানের কাজা রোজা ও শাওয়ালের ছয় রোজা এক নিয়তে একই সাথে আদায় করা শুদ্ধ নয়
ভাষা: বাংলা
মুফতী: মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
প্রকাশনায়: www.islamqa.info
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: শায়খ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ রমজানের কাজা রোজা ও শাওয়ালের ছয় রোজা একসাথে এক নিয়তে আদায় করা বিষয়ক একটি প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রশ্নটি হল : শাওয়ালের ছয় রোজা ও মাসিকের কারণে কাজা হয়ে-যাওয়া রমজানের রোজা কী এক নিয়তে এক সাথে আদায় করা বৈধ হবে?

সংযোজন তারিখ: 2009-10-09
শর্ট লিংক: http://IslamHouse.com/237088
:: এই শিরোনামটি বিষয় অনুসারে নিম্নের ক্যাটাগরিগুলোতে বিন্যস্ত ::
এই ‘বিষয় পরিচিতি’টি নিম্নোক্ত ভাষায় অনূদিত:: আরবী
বিস্তারিত বিবরণ

রমজানের কাজা রোজা ও শাওয়ালের ছয় রোজা এক নিয়তে একই সাথে আদায় করা  শুদ্ধ নয়

প্রশ্ন

শাওয়ালের ছয় রোজা ও মাসিকের কারণে কাজা হয়ে যাওয়া রমজানের রোজা কী এক নিয়তে এক সাথে আদায় করা বৈধ হবে?

 

উত্তর : আলহামদুলিল্লাহ

এরূপ করা শুদ্ধ নয়। কেননা শাওয়ালে ছয় রোজার পর্ব রমজানের রোজা পূর্ণ করার পরই আসে।

শায়খ ইবনে উসাইমিন রোজার ফতোয়ায় (৪৩৮) বলেন:যে ব্যক্তি আরাফা দিবসে রোজা রাখল অথবা আশুরা দিবসে রোজা রাখল, এমতাবস্থায় যে তার উপর রমজানের কাজা রোজা রয়েছে, তাহলে তার রমজানের কাজা আদায় হয়ে যাবে এবং একই সাথে আরাফা দিবস বা আশুরা দিবসে রোজা রাখার ছাওয়াবও পেয়ে যাবে। এটা হল কেবল সাধারণ নফল রোজার ক্ষেত্রে যার সাথে রমজানের কোনো যুগসূত্র নেই। অবশ্য শাওয়ালের ছয় রোজার বিষয়টি ভিন্ন। শাওয়ালের ছয় রোজা রমজানের সাথে যোগসূত্রে বাঁধা। এ কারণে রমজানের কাজা রোজা থাকলে তা আদায় করার পরই শাওয়ালের ছয় রোজা আদায় করা যাবে। এর প্রমাণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস: ( যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, অতঃপর শাওয়ালের রোজা রাখল সে যেন পুরা বছরই রোজা রাখল।) আর এটা আমরা জানি যে, যে ব্যক্তির উপর রমজানের কাজা রোজা রয়েছে তাকে রমজানের রোজা আদায়কারী বলা হবে না যতক্ষণ না তার দায়িত্বে থাকা কাজা রোজা সে পূর্ণ করে নেবে।

 

 

আরও দেখুন ( 1 )
Go to the Top